বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ১০:৫৮ অপরাহ্ন

শেখ হাসিনা সরকারের অনুপস্থিতিতে বাংলাদেশ অস্থিতিশীল হতে পারে

শেখ হাসিনা সরকারের অনুপস্থিতিতে বাংলাদেশ অস্থিতিশীল হতে পারে

0 Shares

অনলাইন ডেস্ক:
২০২৩ সালের শেষ কিংবা ২০২৪ সালের শুরুতে বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হতে যাচ্ছে। এর আগে দেশটির রাজনৈতিক প্রাঙ্গণে অস্থিরতা বিরাজ করছে । এই অবস্থায় ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম ফ্রন্ট লাইন এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, নির্বাচনে যদি শেখ হাসিনার দল হেরে যায় তাহলে বাংলাদেশ দীর্ঘ রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অস্থিতিশীলতার সম্মুখীন হতে পারে।

শেখ হাসিনার সরকার ভারতের সবচেয়ে কাছের এবং একমাত্র নির্ভরযোগ্য অংশীদার। নির্বাচনের সময় ঘনিয়ে আসায় যুক্তরাষ্ট্রের চাপিয়ে দেওয়া রাজনৈতিক সংকট থেকে বাংলাদেশকে মুক্তি দেওয়ার জন্য চাপ বাড়ছে ভারতের ওপর। যদিও ভারত ঐতিহ্যগতভাবে দক্ষিণ এশিয়ায় ‘বড় শক্তি’ হিসেবে স্বীকৃত। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সেই অবস্থানটিকে চ্যালেঞ্জ করে আসছে চীন।

বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করতে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে এক ধরণের পরোক্ষ চাপ আসছে। এরইমধ্যে যারা নির্বাচনী কারচুপিতে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞা নিয়েছে বাইডেন প্রশাসন। পাশাপাশি, মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) এর বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা এবং অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।

২০০৯ সাল থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে নির্বাচনে কারসাজি এবং বিরোধী রাজনীতিকদের ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগ আনা হয়েছে। তবে শেখ হাসিনা বরাবরই বলে আসছেন, বাংলাদেশে নির্বাচন সবসময়ই অবাধ ও সুষ্ঠু হয়েছে।

তারপরও যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের মিত্র দেশগুলো শেখ হাসিনার সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করে আসছে। সম্প্রতি ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনের সময় বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে ওঠে। সেসময় আওয়ামী লীগ সমর্থকরা স্বতন্ত্র এক প্রার্থীর ওপর হামলা করলে তার সমালোচনা করে বিবৃতি দেন ইইউসহ বেশ কয়েকটি দেশের কূটনীতিকরা।

মার্কিন চাপ বিরোধীদের চাঙ্গা করছে
বাংলাদেশের রাজনীতিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পরোক্ষ হস্তক্ষেপ সরকার বিরোধীদের চাঙ্গা করেছে। প্রধান বিরোধী দল, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) এতে উচ্ছ্বসিত এবং সরকারকে আক্রমণ করে সমাবেশ ও সভা করছে। অন্যান্য সংগঠন যেমন জামায়াতে ইসলামী যারা পাকিস্তানের সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রেখে আসছে এবং দেশের মুক্তি সংগ্রামের সময় পাকিস্তানি সেনাবাহিনীকে সহযোগিতা করেছিল, তারাও মার্কিন অবস্থানের কারণে রাজনীতিতে উৎসাহী হয়ে উঠছে।

ভারতের গুরুত্বপূর্ণ মিত্র
প্রায় এক দশক ধরে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং শেখ হাসিনার সরকারের মধ্যে একটি আস্থার সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। কমেছে দু’দেশের সীমান্ত সন্ত্রাস। দু’দেশের জনগণও এটাকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন। তবে বিজেপি নেতাদের মুসলিম-বিদ্বেষী মনোভাব মাঝেমধ্যে বাংলাদেশ সরকারকে বিব্রতকার অবস্থায় ফেললেও শেখ হাসিনা তাঁর রাজনৈতিক প্রজ্ঞা দিয়ে দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে সফলভাবে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। ভারত-বাংলাদেশের অংশীদারিত্ব বাণিজ্য ও বিনিয়োগ থেকে শুরু করে দু’দেশের উন্নয়ন এবং আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য একে অপরের ওপর নির্ভরশীল হয়ে উঠেছে।





প্রয়োজনে : ০১৭১১-১৩৪৩৫৫
Design By MrHostBD
Copy link
Powered by Social Snap